Header Ads

Header ADS

ঈদ ভ্রমণে কোনো অনিয়ম হলে ভোক্তা অধিদপ্তরও ব্যবস্থা নেবে

পবিত্র ঈদুল ফিতরকে সামনে রেখে দূরপাল্লার যাতায়াতসহ পরিবহন কার্যক্রম বাড়ছে এবং দেখা যাচ্ছে নানা অনিয়ম ও অসঙ্গতি। ফলে ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রীরা। তবে, জাতীয় ভোক্তা সুরক্ষা অধিদপ্তর এই শপথের সময় যাত্রী হয়রানি রোধ করবে। সরকারি সংস্থা ঘোষণা করেছে যে এটি হয়রানির অভিযোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবে।

ভোক্তা বিষয়ক অধিদপ্তর

রাজধানীর কারওয়ান বাজারে ম্যানেজমেন্টের প্রধান কার্যালয়ে পরিবহন শ্রমিকদের মালিকানাধীন সংগঠনের শীর্ষ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সংগঠনের প্রশিক্ষণ ও প্রচারের উপ-পরিচালক আতিয়া সুলতানা এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এ ঘোষণা দেন। সোমবার রাজধানী।
বৈঠকে এএইচএম-এর ভোক্তা বিষয়ক মহাপরিচালক সফিকুজ্জামান বলেন, ঈদ উপলক্ষে কিছু খাতে (সৌন্দর্য, পোশাক ও পরিবহন) সেবার চাহিদা বাড়ছে। এ কারণে এসব সেক্টর যেন হাতের বাইরে না যায় সেভাবে অভিযান চালানো হয়। 

পরিবহন এলাকায় অভিযোগ থাকলে তা সমাধানের জন্য প্রথমে সংশ্লিষ্ট পরিবহন সংস্থাকে জানানো হবে। কোনো সমাধান না হলে বিভাগীয় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৈঠকে নির্ধারিত মূল্যের চেয়ে বেশি দামে টিকিট বিক্রি, বেশি লাভের আশায় টিকিট মজুত করা, নির্ধারিত গন্তব্যে পৌঁছানোর আগেই যাত্রীদের অর্ধেক ত্যাগ করা এবং ২৪ ঘণ্টা সার্ভিস শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত গাড়ি না পাওয়াকে অনিয়ম হিসেবে গণ্য করা হয়। .

এছাড়াও যাত্রীদের লাগেজ বহন করা, নির্ধারিত কাউন্টার ছাড়া যাত্রী বহন করা, নির্ধারিত সময়ের বাইরে যাত্রা বিলম্ব করা, নির্ধারিত সিট ছাড়া অতিরিক্ত যাত্রী বহন করা, নির্ধারিত সময়ে গাড়ি থেকে নামানো এবং সিটের নিচে যাত্রী তোলা। বোর্ডিং পরিষেবা। যানবাহন ভোক্তা উপদেষ্টা কেন্দ্র সতর্ক করে যে এটি হওয়া উচিত নয়।

একই সঙ্গে যাত্রীদের সঙ্গে অসহযোগিতা না করতে এবং লাইসেন্সবিহীন, অযোগ্য ও অননুমোদিত চালক দিয়ে গাড়ি চালানো থেকে বিরত থাকতে মালিকের কর্মচারীদের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বৈঠকে পরিবহন শিল্পের কর্মকর্তারা উচ্চমূল্যকে দায়ী করে বলেন, ফেরার পথে যানবাহন ভর্তি থাকলেও ফেরার পথে খালি। ঢাকায় যাত্রীদের দুর্ভোগের অন্যতম কারণ হিসেবে গাজীপুরের প্রায় আড়াই লাখ পোশাক শ্রমিকের ঈদের ছুটিকে দায়ী করেছেন ট্রাফিক নেতারা।

অধিদফতরের পরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, ঈদে যাতায়াতকারী পরিবহন শ্রমিকদের সেবার দিকে নজর দেওয়া জরুরি। পরিপূরকভাবে কাজ করতে পারলে এবারের ঈদ ভ্রমণ আনন্দদায়ক হবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

সভায় বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআরটিএ), বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন শ্রমিক ফেডারেশন, ঢাকা সড়ক পরিবহন মালিক সমিতি, বাংলাদেশ ট্রাক চালক শ্রমিক ফেডারেশন ও নিরাপদ সড়ক চাই-এর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এসময় সোহাগ পরিবহন, ন্যাশনাল ট্রাভেলস, গ্রামীণ ট্রাভেলসহ বিভিন্ন পরিবহন প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।

কোন মন্তব্য নেই

Blogger দ্বারা পরিচালিত.