নন-ক্যাডারে 4000 জনকে নিয়োগ দেওয়া যাবে
৪০তম বিসিএসের কর্মী নিয়ে সরকারের চূড়ান্ত প্রতিক্রিয়ার অপেক্ষায় রয়েছে পাবলিক ওয়ার্কস কমিশন (পিএসসি)। পিএসসি এই বিসিএস-এ অন্তর্ভুক্ত অ-মালিক ব্যক্তিদের সংখ্যাকে প্রভাবিত করবে।
![]() |
বাংলাদেশ পাবলিক ওয়ার্ক কমিশন (পিএসসি)। |
তবে পিএসসির একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বাংলা নিউজ 24m ডটকমকে বলেন, ৪০তম বিসিএসের জন্য অন্তত ৪ হাজার নন-কর্মচারী কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনা করছেন তারা। তবে এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেও জানান তিনি। এই সিদ্ধান্ত এককভাবে সরকারের। বাংলা নিউজ 24 কে এ বিষয়ে জানতে চাইলে সিপিএসের একটি সূত্র বলেন, “আমরা জনপ্রশাসন কর্তৃক অনুমোদিত নিয়মগুলো পেয়েছি। এটি পর্যালোচনার জন্য আমাদের কাছে পাঠানো হয়েছে।
আমরা বিচার বিভাগে নোটিশ পাঠিয়েছি। জনপ্রশাসনকে জানানোর সাথে সাথে পিএসসি এখন সংশোধিত বিধিগুলি বাস্তবায়ন করবে। সূত্রটি আরও জানায়, কমপক্ষে ৪,০০০ কর্মকর্তা নিয়োগের পরিকল্পনা রয়েছে এবং এই সংখ্যা বাড়তে পারে। জনসংখ্যার বিষয়ে সিদ্ধান্ত সরকারের সর্বোচ্চ পর্যায়ে নেওয়া হয়। সেখান থেকে মনোনয়ন দিতে উৎসাহিত হওয়ায় পিএসসি এটি বাস্তবায়ন করবে।
এদিকে পিএসসির অপর একটি সূত্র বাংলা নিউজ 24 কে জানিয়েছে, ৪০তম বিসিএসের জন্য ব্যক্তিগত সব কাজ শেষ করেছেন তারা। একাধিক বৈঠকও হয়েছে। এসব বৈঠকে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়। টেলিটকের সঙ্গেও বৈঠক হয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, আইনটি পাস হলে পিএসসি দ্রুত কর্মচারী নিয়োগের জন্য সব ধরনের প্রস্তুতি নিত। জনপ্রশাসন অধিদপ্তরের সূত্র জানায়, সচিবালয় কমিটি কর্তৃক গৃহীত নন-কর্মচারী নিয়োগের সংশোধিত বিধিমালা পাবলিক ওয়ার্কস কমিশনের (পিএসসি) জনপ্রশাসন বিভাগ থেকে এসেছে। কেপিপি এখন এই নিয়ম সম্পর্কে মন্তব্য করেছে।
পরে তা বিচার মন্ত্রণালয়ে স্থানান্তর করা হয়। বিচার মন্ত্রণালয় অনুমোদিত হলে তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে নোটিশ দিয়ে প্রকাশ করা হবে। জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের একাধিক সূত্র
বিষয়টি বাংলা নিউজ 24 কে নিশ্চিত করেছেন। জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাংলা নিউজ 24 বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয় কমিটি নো-স্টাফ রুল অনুমোদন করেছিল। এ বিষয়ে বিচার মন্ত্রণালয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন।
বিষয়টি বাংলা নিউজ 24 কে নিশ্চিত করেছেন। জানতে চাইলে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব বাংলা নিউজ 24 বলেন, গত বছরের ২৬ ডিসেম্বর সচিবালয় কমিটি নো-স্টাফ রুল অনুমোদন করেছিল। এ বিষয়ে বিচার মন্ত্রণালয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে সরকারি কর্ম কমিশন।
মামলা সেখানেই শেষ। এরপর তা জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ওয়েবসাইটে বিজ্ঞপ্তি হিসেবে প্রকাশ করা হবে। এদিকে, প্রবিধানে বিলম্বের কারণে এক বছরের বেশি সময় পরেও মনোনীত না হওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেছেন কম কর্মী-সমর্থকরা। ৪০তম বিসিএসে পদের জন্য বেশ কয়েকজন নন-স্টাফ আবেদনকারী জানিয়েছেন যে তারা দীর্ঘদিন ধরে নন-স্টাফ তালিকার জন্য অপেক্ষা করছেন। তখন আগের সব বিসিএসে নন-কর্মচারীদের তালিকা প্রকাশ করা হলেও তাদের জন্য নয়। তালিকা প্রকাশের পরও তা সেট করতে দীর্ঘ সময় লেগে যায়।
সরকারেরও এটা মনে রাখা উচিত। শুধুমাত্র তারাই একজন বেকার ব্যক্তির জীবনে কাজের গুরুত্ব অনুভব করে। পিপিএস সূত্রে জানা গেছে, গত বিসিএসে মেধার ভিত্তিতে মনোনীত বাকি প্রার্থীদের অপেক্ষমাণ তালিকায় রাখা হয়েছে অ-পুঁজিবাদী হিসেবে। এদিকে পিএসসিতে প্রথম ও দ্বিতীয় শ্রেণির পদের সংখ্যা জমা দিতে বলে বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগে চিঠি পাঠানো হয়েছে।
এতে উল্লিখিত চাকরির চাহিদার কারণে, কর্মক্ষমতার ভিত্তিতে নির্দিষ্ট মেয়াদী পদ পূরণ করার সুপারিশ করা হয়। পরবর্তী বিসিএস ফলাফল ঘোষণা না হওয়া পর্যন্ত, পিএসসি শূন্য পদের প্রয়োজন হলে মুলতুবি প্রার্থীদের থেকে উপযুক্ত প্রার্থীদের নিয়োগের সুপারিশ করে।
কোন মন্তব্য নেই